Recent posts

#1
আমরা পাঁচজন যাচ্ছি খেলা দেখতে। এখানে কেউ খেলা দেখতে গেলে ইনবক্স এ যোগাযোগ করতে পারেন। দেখা করলে মজা হবে।
#4
ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে, রেজিস্ট্রেশন পরবর্তী পেইজে কিছু এরর মেসেজ দেখায়।  দয়া করে ঘাবড়াবেন না। আপনার রেজিস্ট্রেশন সফল হয়েছে। লগইন পেইজে আবার ভিসিট করে আপনার দেওয়া ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন অনায়াসে করতে পারবেন। 
#5
কোর্স সম্পর্কিত আপডেট পোস্টের জন্য রিজার্ভ রাখা হলো।
#6
সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে মাসে ২০,০০০ টাকা আয়ের প্রশিক্ষণ (১০০% নিশ্চয়তা) - এই কোর্স কোর্সের বিষয়ে প্রশ্নগুলো এখানে করবেন এবং সময় করে আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
#7
  • কোর্স ফি : ১৫,০০০ টাকা
  • কোর্সের সময়কাল : ১  মাস
  • কোর্স পরবর্তী কাজের দিক নির্দেশনা : ৫ মাস
আমরা কোনো অগ্রিম কোর্স ফি নিয়ে থাকি না। কোর্স শেষে প্রথম মাসে ৫,০০০ টাকা এবং বাকী ১০,০০০ টাকা আপনার প্রথম আয় থেকে পরিশোধ করুন।

সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করুন।
৬ মাস পর আপনি নিজেই নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে পরবর্তী দেড় বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার বা তারও বেশী টাকা প্রতিমাসে আয় করতে পারবেন!

না এটি কোনো রূপকথার গল্প নয় , কোনো মিথ্যা আশ্বাসও না, অথবা  আপনাকে ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যও না। আমাদের একমাত্র এবং অন্যতম  উদ্দেশ্য আপনাকে একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া এবং আপনাকে সৰ্বোচ্চ সহযোগীতা করে সেই রাস্তায় হোচট না খেয়ে সহজে হাঁটিয়ে প্রয়োজন হলে দৌড়িয়ে এক সময় আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া।

প্রশিক্ষণ শেষে, আপনার লক্ষ্য মাসে ২০,০০০, না ১ লক্ষ ২৫ হাজার, না তারও বেশী সেটি আপনি নির্ধারণ করবেন।

অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু আমরা জানি আপনি একটু চেষ্টা করলে আপনাকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া আমাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনি রেডি তো ?

আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতা গুলো নিম্নরূপ:
  • ইংরেজী পড়ার এবং লিখার দক্ষতা আবশ্যক। লিখার ক্ষেত্রে মোটামুটি গ্রামার এবং শব্দের ব্যবহার করে ভাব টা প্রকাশ করতে পারলেই হলো। আর যদি আপনার ইংরেজী খুব ভালো হয় তাহলে এই কাজ আপনার জন্য অতি সাধারণ কাজ হবে। 
  • একটি মোটামুটি মানের ল্যাপটপ / কম্পিউটার এবং সাথে সর্বক্ষণিক ইন্টারনেট কানেকশন থাকা আবশ্যক। আপনার কাজটাই হবে ইন্টারনেট ভিত্তিক।
  • ল্যাপটপ / কম্পিউটার কীবোর্ড টাইপিং-এর মোটামুটি দক্ষতা আবশ্যক, বাংলা টাইপিং না জানলেও হবে কিন্তু ইংরেজি টাইপিং অবশ্যই জানতে হবে।
  • ল্যাপটপ / কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর উপর বেসিক ধারণা থাকতে হবে। ব্রাউজার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার অভ্যাস থাকতে হবে।
  • প্রথম কয়েকমাস খুব ধর্য্যের পরিচয় দিতে হবে। ভালো লাগবে না, বোঝা মনে হবে, অনেক কিছু মাথায় ঢুকবে না, মনে হবে কোনোকিছুতেই আপনার নিজের কোনো মতামত নাই, কোনো মতামত দেওয়ার আইডিয়াও মাথায় আসে না আপনার - কিন্তু মনে রাখবেন এসব সাময়িক। তাই আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল এবং কিছু না কিছু প্রতিদিন লেখার মানসিকতা থাকা আবশ্যক।
  • ফেইসবুক, এক্স সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ল্যাপটপ / কম্পিউটার ব্রাউজার দিয়ে ব্যবহার করতে পারা বা করার অভ্যাস থাকা আপনাকে অ্যাডভান্টেজ দিবে।
  • যেকোনো কিছু অনুসরণ এবং অনুকরণ করার ক্ষমতা আবশ্যক।
  • ভালো কমিউনিকেশন স্কিল, ভালো আই-কিউ থাকা, অন্যকে এবং নিজেকে সম্মান দেওয়ার গুন থাকতে হবে।
  • যেকোনো কাজকে গুরুত্ব দিয়ে করার মানসিকতা আবশ্যক।

আবেদন করার নিয়ম:
  • এই ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করে নিচে আপনার একটি কাভার লেটার পোস্ট করুন। সুন্দর করে ফরমেট করবেন যাতে এইটা প্রতিয়মান হয় যে আপনি কম্পিউটার কীবোর্ড এর ভালো ব্যবহার জানেন এবং লিখা লিখিতে মুটামুটি পারদর্শী। কাভার লেটার আপনি বাংলা (যদি  বাংলা টাইপ পারেন) এবং ইংরেজিতে (অবশ্যই) লিখবেন।
  • কাভার লেটারে আপনার সম্পর্কে (ব্যক্তিগত বিষয় নয়, ব্যক্তিগত কোনো তথ্যও দয়া করে দিবেন না) আমাদের অবগত করুন যেমনঃ আপনার পেশা এবং বর্তমান মাসিক আয়, পড়ালেখা, অনলাইনে ব্রাউজিং-এ কতটুকু পারদর্শী, কেন এই কোর্স করতে আগ্রহী, কতটুকু সিরিয়াস আপনি নতুন কিছু শিখতে এবং অনুসরণ করতে, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি, আপনি কতটুকু সৎ (একটি উদাহারণ দিতে পারেন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে), আপনার কাছে পরোপকারী মনোভাব কতটুকু আছে, আপনার জীবনের একাডেমিক অ্যাচিভমেন্ট - এগুলা জানাবেন।
কাভার লেটারে অনেক গুলো বিষয়ের সাথে আপনার বাংলা এবং ইংরেজি লেখার দক্ষতা এবং ওয়ার্ড ফরম্যাটিং করার দক্ষতা আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।

সিলেকশনের ধাপগুলো যা হতে পারে:
  • কাভার লেটার দেখে আমরা শর্টলিস্ট করবো, শর্টলিস্টেড আবেদনকারীদের আমরা পরে একটি পোস্ট করে জানিয়ে দেব।
  • আপনি শর্টলিস্টে থাকলে একমাত্র তখনই আমাদেরকে আপনার নাম এবং টেলিগ্রাম আইডি দিবেন। এই টেলিগ্রাম আইডি দিয়ে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ রাখবো।
  • পরবর্তীতে আপনাকে আমরা ক্লাসের সময় টেলিগ্রামে জানিয়ে দেব।
  • ক্লাসগুলো সপ্তাহে ২ দিন হবে, মোট ৮ টা লাইভ ক্লাস গুগল মিট দিয়ে করা হবে। পরবর্তী ৫ মাস, প্রতি মাসে একদিন আমরা একইভাবে ক্লাস নিয়ে প্রতি মাসে আপনার কাজের তদারকি, ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে এবং দেখিয়ে দেব।

প্রশ্ন উত্তর:
কাভার লেটার ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে এখানে পোস্ট করবেন না। আপনার প্রশ্ন থাকলে তা এখানে পোস্ট করুন। আমরা সময় মতো উত্তর দিয়ে দেবো। 


ডিসক্লেইমার :
১. বানান এবং শব্দ ব্যবহারের ভুল ত্রুটি নিজ গুণে মাফ করবেন।
২. এই কোর্সে আপনি বিগ পিকচারটা ধরতে পারলে এবং আমাদের দেখিয়ে দেওয়া রাস্তায় প্রতিদিন একটু সময় দিয়ে মনোযোগ সহকারে কাজ করলে এখানে সফল অবশ্যই হবেন, গ্যারান্টী আমাদের। কিন্তু আপনি আমাদের কথা না শুনে, সময় না দিয়ে মনে মনে ধরে নিলেন আপনি এই কোর্স করে ২০,০০০ অথবা ১ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা বা তারও বেশি প্রতি মাসে কামাবেন তাহলে কিছুই হবে না। আপনার ভবঘুরে, দায়িত্বহীন মনমানসিকতার অসফলতার দায়িত্ব আমরা কখনো নিবো না।
৩. আমরা চেষ্টা করেছি সহজ বাংলা লিখতে, কোনো প্রফেশনালিজম বা সেই রকম কিছুর ধার ধারি নাই। এই প্রয়াস আমাদের ব্যবসা না, বলতে পারেন সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আমাদের আশে পাশে বেকার যুবক যুবতীর কষ্ট দেখে তাঁদের এবং দেশের জন্য নীরবে কিছু করার চিন্তা থেকে এগিয়ে আসা।
#8
Quote from: SilentEcho on Oct 06, 2024, 10:45 AMএই ফোরামটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে এবং আন্তরিক ধন্যবাদ এডমিনকে যে সুন্দর একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য
ফোরামটি তৈরী করা হয়েছে স্বাধীনভাবে নিজের মতামত তুলে ধরার জন্য।

মত প্রকাশ আমাদের অধিকার , স্বৈরাচার খুনি হাসিনার সময় আমাদের সেই অধিকার হরণ করা হয়েছিলো তাই এই ফোরামটি আমরা তৈরী করেছিলাম। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, দেশ নতুন সম্ভাবনার দিকে যাবে তবে আমাদের অনেক সোচ্চার থাকতে হবে। জনমত ফোরামে আমরা সোচ্চার থাকবো স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। জুলাইয়ের সকল শহীদ ছাত্রদের জীবন, আহত ভাই বোনদের ত্যাগ, পরিবারের কষ্ট বৃথা যেতে দেয়া যাবে না।

Quote from: SilentEcho on Oct 06, 2024, 10:45 AMবিশেষ করে যারা নতুন তারা অনুপ্রেরণা পাবে লেখালেখি করতে যেহেতু তারা একটা পারিশ্রমিক পাবে, যদিও তা যতসামান্য বটে।
আপনি লিখা লেখি করে যান। শীগ্রই আমরা  ফোরাম প্রবন্ধ লিখন প্রতিযোগিতা শুরু করবো। একটা করেছিলাম জুলাইয়ের দিন গুলোতে, এখন এটা অতীত। নতুন করে আমাদের প্ল্যানিং করছি। আপনার সহকর্মী, বন্ধু বান্ধবদের আমাদের ফোরামের দাওয়াত দিতে পারেন। সবাই মিলে বড়ো কিছু করা যায়। 

Quote from: SilentEcho on Oct 06, 2024, 10:45 AMতবে, আলোচনা সাপেক্ষে এবং কয়েকদিনপর এর পারিশ্রমিকটা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।।

Quote from: আমজনতা on Mar 20, 2024, 10:04 PMপ্রতি জন লেখকের জন্য মাসে সর্বোচ্চ ৩,০০০/= (তিন হাজার টাকা মাত্র) সম্মাননা দেয়া হবে। আপনার বিকাশ / নাগাদ একাউন্ট এডমিনকে দিবেন। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫ তারিখ আপনার পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে।

উপরে অলরেডি বলা আছে।
এটি শুধুমাত্র একটি সম্মাননা, আমাদের অন্ততঃ ১০ জন মানুষ দরকার যারা ভালো লেখালেখি করে। প্রোজেকটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ফান্ডিংএ চলে তাই চাইলেও আমরা আমাদের বাজেট থেকে বের হতে পারি না। ফোরাম বড়ো হলে হয়তো আমরা উৎসাহ পাবো বড়ো কিছু করতে। আপনাদের সহযোগীতা আমাদের অনেক দরকার।

#9
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে, এবং এর প্রভাব বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচকভাবে দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি এবং খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, এবং সরবরাহ শৃঙ্খলার সমস্যাগুলো এই পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে এই সংকট আরও গভীরতর হয়েছে কিছু এলাকায় চলমান বন্যার কারণে। এই বন্যার প্রভাবে ফসলহানি, রাস্তাঘাট এবং পরিবহন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে, যা দ্রব্যমূল্যের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট তীব্র হয়েছে, ফলে মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে সীমিত করে তুলছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি রোধ এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি বর্তমান অর্থনীতির জন্য একটি জটিল সমস্যা, এবং এটি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

১. সরবরাহ শৃঙ্খলা ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রণোদনা
সরবরাহ শৃঙ্খলা ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃষি, শিল্প, এবং অন্যান্য উৎপাদন খাতে প্রণোদনা দিতে পারে।

কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়লে পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে এবং দাম কমবে।
লজিস্টিকসের উন্নয়ন: পণ্যের সঠিকভাবে পরিবহন এবং সংরক্ষণের জন্য লজিস্টিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করা দরকার, যা সরবরাহে কোনো বাধা সৃষ্টি হতে দেবে না।

২. বাণিজ্য নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মজবুত করা
বিশ্ববাজারে তেলের দাম, বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ, এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলার সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক মজবুত করা এবং আমদানি শুল্ক কমানো এর সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

বাণিজ্য ঘাটতি কমানোঃ অন্যান্য দেশ থেকে কম খরচে পণ্য আমদানি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।

৩. মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঠিক মুদ্রানীতি অর্থনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে।

সুদের হার বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে, যার ফলে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমে যাবে এবং চাহিদার উপর চাপ কমবে।
অর্থের সরবরাহ সীমিত করা: বেশি পরিমাণ অর্থ সরবরাহ মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাজারে অর্থ সরবরাহ সীমিত রাখলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৪. সরকারি ভর্তুকি ও সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ক
সরকার সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করতে পারে।

ভর্তুকির মাধ্যমে সহায়তা: নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রদান করে সরকারের মাধ্যমে মূল্য কমানো যেতে পারে। এতে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি: ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর জন্য নগদ, রেশনিং সিস্টেম, এবং অন্যান্য সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে।

৫. বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং
বাজারে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কালোবাজারি এবং মজুতদারি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজার মনিটরিং এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কঠোর করা দরকার।

মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা: সরকার কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে যাতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে না পারে।
আইনি পদক্ষেপ: কালোবাজারি ও মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়া বন্ধ হবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে।

৬. কৃষিখাতে বিনিয়োগ
খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কৃষিখাতে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

কৃষকের সহায়তা: কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সরবরাহ করে উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে, যা বাজারে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করবে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখবে।
এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।
#10
৩৬ শে জুলাই-এর বিপ্লব আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি ছিল একটি নতুন শুরু, যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে নেমেছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করার হুমকি তৈরি করেছে। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার হ্রাস এই বিপ্লবের লক্ষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।


দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি শুধু সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা কঠিন করে তোলেনি, বরং এটি সমাজের ভেতর একটি গভীর বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। বিপ্লবের মাধ্যমে যে সামাজিক সাম্য ও ন্যায়ের প্রত্যাশা ছিল, তা আজ যেন দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্ষীণ হয়ে আসছে। জনগণের যে আশাবাদ ছিল একটি নতুন সমাজ গঠনের, সেই আশা এখন অর্থনৈতিক চাপে পড়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।



এখানে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় দায়িত্বও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থতা শুধু অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং একটি সুস্থ সমাজ গঠনের পথেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। একদিকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ আরও বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ধনী শ্রেণীর মাঝে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ বাড়ছে। এই বৈষম্য বিপ্লবের মূল চেতনার সাথে পুরোপুরি বিপরীত।

তবে, এখনও সময় আছে। যদি সরকার দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে এবং সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে মনোযোগ দেয়, তাহলে ৩৬ শে জুলাই-এর বিপ্লবের মূল চেতনা রক্ষা করা সম্ভব। নতুবা, এই বিপ্লব কেবল একটি ইতিহাসের অধ্যায় হয়েই থেকে যাবে, যার প্রভাব বাস্তব জীবনে আর অনুভূত হবে না।

Page Bottom